সুন্দর ভদ্র জীবন ওলট পালট হওয়ার বাংলা সেক্স স্টোরি
নবিন নস্করের বয়স ৪৯ ৷ সরকারি ব্যাঙ্কের
কেরানি হলেও তার টান নেই চাকরির প্রতি ৷ বাঁধা ইনকামের আশায় কোনমতে চাকরি
টিকিয়ে রেখেছেন৷ ৮ বছর হলো বিপত্নীক হয়েছেন৷ দুর্ঘটনায় জবা মারা যাবার পর
নবিনের জীবন তাই যেন বদলে গেছে ৷ সুন্দর ভদ্র জীবন কেমন করে ওলট পালট হয়েছে
তা জানা নেই নবিনের ৷ কিসের খিদে তাকে যেন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ৷ পৈত্রিক
ভিটে মাটি ছাড়া জমি আছে দো ফসলা ৩০-৪০ বিঘে ৷ আর ৮-৯ বিঘে বাস্তু পুকুর
মিলে তার খাবারের অভাব নেই ৷ ছেলেপুলে নেই বলেই নবিনের নস্করের জীবনে এমন
পরিবর্তন এসেছে বলেও সে নিজে মনে করে না ৷
তার দুটি নেশা একটা যাত্রা পালার , আর
দ্বিতীয় মাছ ধরার ৷ তাকে মাসে দুই বার শহরে যেতে হয় ৷ তারই অফিসের কাজে ৷
তারই ফাকে টুকি টাকি নানা জিনিস কিনে আনে শহরের বড় বাজার থেকে ৷ মাছের
খাবার , টোপ, বর্শি , নাইলনের কর্ড, আরো কত কি ৷ গ্রামের বাচ্চা মেয়েরা
প্রায়ই তাকে টুকি টাকি আনতে বলে ৷ কখনো নেল পালিস , কখনো হার , বা কানের
দুল, কাঁচের চুরি ৷ এদের কাছ থেকে নবিন কখনো বা পয়সা নেয় কখনো বা নেয় না ৷
সেদিন গরম দুপুরে ভিড় বাসে উঠতেই হলো নবিনকে ৷ নবিনের জীবন বদলে যাবার জন্য
এই ঘটনাটা যে অনেকাংশে দায়ী তা বলা বাহুল্য ৷
এমনিতেই নিতান্ত ভদ্র ধুতি আর খদ্দরের
কড়কড়ে ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবি পরে বাসে উঠেছেন তিনি ৷ অভাব নেই তাই পোশাক
আশাক বেশ ভদ্রোচিত ৷ গোল বাধলো কলেজের কিছু মেয়েদের নিয়ে ৷ তার শরীরের খিদে
শেষ হয়ে যায় নি ৷ কিন্তু তবুও বাসে ট্রামে নোংরামি করার মত মানসিকতা তার
ছিল না ৷ ৫-৬ জন মেয়েদের একটা দল তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ৷ একে বাসে পা
রাখার জায়গা নেই তার উপর উঠতি মেয়েদের শরীর নবিনের গায়ে এসে পড়ায় এক দিকে
যেমন তিনি হতচকিত অন্য দিকে খুশিও বটে ৷ গত ৮ বছরে কোনো মেয়েকে তার ছোবার
সৌভাগ্য হয় নি ৷ আর তার বিন্দুমাত্র লালসাও নেই পতিতা গামী হবার ৷ মনে মনে
নবিন না চাইলেও তার পুরুষাঙ্গ শরীরের গরমে গরম দেখিয়ে অস্তিত্বের প্রকাশ
জাহির করল ৷ মেয়েটি দু একবার আর চোখে দেখে মেপে নিল ভদ্রলোক গোছের নবিনকে ৷
নবিন অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেও সামলে নিয়ে
নিজেকে মেয়েটির থেকে দুরে থাকলেন ৷ হয়ত বিধির বিধান এমনি ছিল নবিনের কপালে ৷
মেয়েটি নবিনের চামড়ার সাথে সেটে বসলো ৷ বুঝতে পারলাম না বাসে ভিড়ের মাত্রা
যতই থাকুক না কেন মেয়েটির এটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল৷ নবিন বাবুর
গন্তব্য স্থল কাছেই ছিল৷ নামতে হত পরের স্টপেজেই ৷ কিন্তু ১৮ বছরের সুন্দরী
কুমারীর নরম দেহে নিজের দেহ মাখিয়ে রাখাতে মন মানছিল না নামতে৷ কলেজে পরা
মেয়েটি আচমকাই চোখ বেকিয়ে নবিন বাবুর উদ্দেশ্যে বলে উঠলো ” ছি ছি বাসের
মধ্যে নোংরামি করছেন আপনার লজ্জা করলো না আমি আপনার মেয়ের বয়েসী ৷” বাসে হই
হই পরে গেল ৷
তখন কে নবিন বাবু আর কে মোহিত বাবু কেও
জানে না ,দু ছাড়তে অদৃশ্য হাত উড়ে উড়ে চার চাপাটি ফেলতে শুরু করে দিল ৷
এড়িয়ে গেল না দু চারটে চড় তাকে ভিড়ের পাজর পাঁজর ভেঙ্গে নেমে আসতে গিয়ে৷
পকেটটা একটু ছিড়ে গেছে নতুন কেনা পাঞ্জাবিটার৷ বাস স্টপে কোনো ক্রমে নেমে
দেখলেন আসে পাশের উত্সুক লোক তাকেও দেখছে ৷ কোনো ক্রমে সেই জায়গা দিয়ে
বেরিয়ে হেড অফিসে পৌছে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে তৃপ্তি হলেও ঠোটের কোন টা
চির চির করে জ্বলছিল ৷ ফ্রেশ রুম এ রাখা আইনে মুখ দেখতে চমকে উঠলেন তিনি ৷
ঠোটের কোন টা কেউ যেন মেরে ফুলিয়ে দিয়েছে ৷ অভিমান আর আত্ম গ্লানি বুকে
নিয়ে কাজ সারলেন যাবতীয় ৷ শরীরের রক্ত যেন টগ বগ করে ফুটছিল ৷
কাজ সেরে অফিস থেকে বেরিয়েই টুকি টাকি
কেনা কাটা করে রওনা দিলেন বাড়ির দিকে ৷ ট্রেন পথে ১ ঘন্টা লাগে গ্রামে
পৌছাতে ৷ বিজয় নগর শহরে তার এক প্রানের বন্ধু থাকে ৷ মন খারাপ বলে ভাবলেন
বিকেল টা বন্ধুর সাথে যদি কাটানো যায় ৷ দলপতি বছর ১৫ এই শহরে এসেছে ৷ তার
ব্যবসা কাঠের ৷ বেশ ধনী না হলেও খেয়ে পড়ে চলে যায় তার ৷ ছোট গুদোম ঘরের
সামনে দাঁড়িয়ে হক পারলেন ” দলপতি আছিস নাকি রে ?” বছর ৫০ এর এক প্রৌর গামছা
গায়ে বেরিয়ে আসে ৷ ” নবিন নাকি রে আয় আয় , তা এতদিন পর আসলি , আমি ভাবলাম
ভুলেই গেছিস , তুই তো আজকাল আর আসিস না !” দুজনে গল্প করতে করতে গুদোম ঘর
পেরিয়ে ছোট বাড়ির উঠানে এসে বসে ৷ মিনতি তার স্ত্রী ৷ “মিনতি একটু চা কর
দেখি নবিন এসেছে আমাদের গা থেকে !” নবিন বাবু কে দেখে এক গাল হেঁসে মিনতি
ভিতরে চলে গেলেন ৷ বললেন ” ঠাকুরপো বড়লোক আমাদের বাড়ি আসবে কেন ? দিদি গত
হয়েছেন ৮ বছর হলো তাবলে কি আমরা তার আত্মীয় নই ?”
ভদ্রতা আর বিনয় মাখিয়ে নবিন বললেন ” না
মিনতি , এখন অফিসের কাজে আসি বটে তবে সময় পাই না ! তাছাড়া দলপতি কাজে
ব্যস্ত থাকে, সে কি আর আপিসে যায় ?” দলপতি হাত ধরে নবিনকে এক চালা তিনের
ঘরে নিয়ে বসায় ৷ নামেই আপিস সেখানে তার দু একটা বেন্চ পাতা , কাঠের
মিস্ত্রী আর খদ্দের দের বসার জায়গা ৷ নবিন দলপতিকে নিজের দিনলিপি জানায় ৷
আজ তার সাথে যে অঘটন ঘটেছে সেটাও জানাতে কসুর করে না ৷ মন বড় উতলা হয়ে আছে ৷
মিনতি ঘরে চা দিয়ে বলে ” ঠাকুরপো এসেছ যখন আজ আর যেতে দিচ্ছি না , আমার
মেয়ের হাতের রান্না খাবে , অনেক দিন পর কচি পাঁঠার টাটকা মাংস আর লাচ্ছা
পরোটা তার সঙ্গে সিমুই ৷” নবিন বাবুর না না করাতে জোর করে মিনতি নবিন
বাবুকে রাজি করিয়ে চলে যায় ভিতরে ৷ দলপতির দুই মেয়ে ৷ সোনা আর রুপা ৷ সোনার
বিয়ের বয়স হয়েছে দেখাশোনাও চলছে ৷ কিন্তু রুপা কলেজে পড়ে ৷ বেশ চালাক চতুর
শহরের মেয়ে গুলো ৷ যৌবনে মিনতিকে দলপতি বিয়ে করে মুগ্ধ হয়ে তার রূপের
জাদুতে ৷ চিরকালই দলপতির খেদ ছিল মিনতির চরিত্র নিয়ে ৷
দলপতি নবিনকে হাত ধরে ” দেখ ভাই জবা নেই ৮
বছর হলো শরীরের খিদে বলেও তো একটা বস্তু আছে ৷ তুই মাঝে মাঝে বাজারে
মেয়েদের কাছ থেকে ঘুরে আয় তাহলে দেখবি তোর মন ভালো থাকবে ৷ আমি সুখ পাইনি
মিনতির কাছ থেকে তাই আমার চাহিদা মেটাতে পুষে রেখিছি আমি একজন দুজন ৷ বুঝিস
তো তাই সত পথে শহরে থেকে দুটো মেয়ে মানুষ করে আমার দ্বারা সম্ভব হয় নি ৷ ”
নবিন জানে সব মাথা নারে ৷ এই একটা কারণেই দলপতির থেকে দুরে থাকে সে ৷
কিন্তু আজ দলপতির কথায় যুক্তি যুক্ত মনে হলো ৷ কাছে টাকাও ভালো আছে হাজার
দশেক ৷ আজকেই বড় হাসেব তার উপরি আয়ের সব বখেয়া মিটিয়ে দিয়েছেন ৷ নবিন বাবু
দলপতির কাছে এসে বলে ” আচ্ছা কচি মেয়ে পাওয়া যাবে ? যেমন ধর কলেজে পড়া মেয়ে
?” দলপতি একটু কেশে ওঠে ৷ “সেতো অনেক টাকার খেলা ভাই !আমি তো ভাবলাম তুই
১০০ -২০০ টাকার কথা বলছিস ?” দলপতি চিন্তার সাথে জবাব দেয় ৷
কৌতুহল নিয়ে নবিন বাবু জিজ্ঞাসা করেন ”
ভাই মন আজ মানছে না, চাই কচি মেয়েই, ১০০০ -২০০০ লাগবে কত বলনা?” দলপতি তড়াক
করে উঠে দাঁড়িয়ে বলে” ২০০০ ঘর থেকে গায়ে জামা চড়িয়ে আসি একটু বস তার পর
বেরোবো ৷ এ ভাবে বলা যাবে না !”জামা কাপড় পড়ে এসে নবিনকে সঙ্গে নিয়ে দলপতি
বেরিয়ে পড়ে ৷ শহরের এক কোনে দলপতির বাড়ি ৷ তার পর একটু বস্তি গরিব এলাকা ৷
বস্তির ভিতর দিয়ে যেতে দেশি মদের দু তিনটে ঠেক পেরিয়ে যায় নবিন ৷ মাঝে মাঝে
শহর থেকে দু একটা বিলিতি ওদের বোতল নিয়ে যায় সে ৷ গায়ের মোড়ল বিলিতি খেতে
ভালবাসে মোটা টাকা দিয়ে ৷ বস্তির ভিতরে একটা চার চালা টিনের ঘরের বাইরে
থেকে ডাকে ” পন্চু এই পন্চু ?” একটা ২৩-২৪ বছরের ছেলে বেরিয়ে আসে ৷ দেখলেই
মনে হয় গাঁজা খায় ৷ ” কি হল দলপতিদা এই ভর সন্ধ্যেবেলায় কি ব্যাপার?” কাঁধে
হাত দিয়ে বাইরে ডেকে জিজ্ঞাসা করে দলপতি “এই দেখ বড় বাবু শহরের , কচি মাল
যোগাড় করে দিতে পারবি ?” ৷
“ইশশ মাইরি আগে বললেনা , একটা ১৮ বছরের
মাল ছিল এই তো একটু আগে অর্ডার চলে গেল ! যেমন রং তেমন দেখতে মাইরি কি বলব!
” মাথার চুল টানতে টানতে বলল “মঙ্গলা মাসির কাছে থাকতে পারে দেখো দিকি
আমার কাছে খবর আসলে তোমায় গিয়ে জানিয়ে আসবো” ৷ দলপতি আর কিছু বলল না মাথা
নামিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলো বস্তির আরো ভিতরে ৷ শহরের বস্তি দেখলেই বোঝা যায়
মানুষ বেচে থাকার জন্য কি না করে ৷ মতেই ভালো লাগে না নবিন বাবুর ৷ মিনিট
দশেক চলার পর একটা কোটা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে উকি ঝুকি মারতে থাকে দলপতি ৷
বাইরে থেকে অনেক মেয়েদের হাঁসির আওয়াজ আসে ৷ বোঝাই যায় বেশ্যা বাড়ি না হলেও
বেশ্যা দের নিয়েই কাজ কারবার মঙ্গলার ৷ বয়স নবিন বাবুদের মতই ৷ কিন্তু কথা
বার্তা তীক্ষ্ণ ৷ একটা কাজের মেয়ে দরজা থেকে বেরিয়ে দলপতি এর উদ্দ্যেশে
বলে ” কি চাই ?”
দলপতি বলে ” দিদি কে বল দলপতি বাবু দেখা
করতে চান !” সে এক ছুট এ বাড়ির ভিতরে চলে যায় ৷ পুরো বস্তিতে হাতে গুনে ৪-৫
টা কোটা বাড়ি আছে ৷ এদের অনেক পইসা আছে বোধ হয় ৷ এক জন মহিলা বেরিয়ে আসেন ,
দেখতে বেস সুশ্রী বাইরে থেকে বোঝা যাবে না যে উনি মেয়ে দের দালাল ৷ ”
দলপতিদা আপনি যে মাঝে মাঝে কোথায় লোপাট হয়ে যান ৷ আসুন ভিতরে আসুন “৷
দলপতির পিছু পিছু নবিন বাবু বাড়ির ভিতরে
চলে গেলেন ৷ বেশ বড় বারান্দা ৷ বাঁশের খুটি দিয়ে চালা বাঁধা দোতলা থেকে এক
তলা পুরো আলাদা ৷ দোতলাতেই সব মেয়েরা হাঁসি তামাসা করছে মনে হয় ৷ মঙ্গলা
ইষৎ হেঁসে জিজ্ঞাসা করেন ” দলপতিদা ইনি বুঝি বাবু ?” দলপতি মাথা নাড়ে ৷
একটা ঘরে বসিয়ে জল আনতে বলে বাচ্ছা সেই মেয়েটাকে ৷ দলপতি বাবু আর নবিন বাবু
যে ঘরে বাচ্চাদের কাঁথার গন্ধ বেরোতে থাকে ৷ মনে হয় নতুন বাচ্চা হয়েছে এ
বাড়িতে ৷ “এবার বল দলপতিদা কেমন চাই তোমার ?” ভদ্রমহিলা একটা বেতের মোড়ায়
বসে হওয়া খেতে খেতে জিজ্ঞাসা করে ৷ মাথা চুলকাতে চুলকাতে দলপতি বলে “১৮-১৯
বছরের আনকোরা মাল হবে মঙ্গলাদি তোমার কাছে ,? এই হলো শহরের নাম করা বাবু
এনার ১৮-১৯ পছন্দ যদি আনকোরা হয় তাহলে তো আরো ভালো ?”
দরজার পাশে দেওয়ালের কোনে বাইরে মুখ
বাড়িয়ে পানের পিক ফেলে মঙ্গলা বলে ওঠে ” কেন তোমার মাল চলবে না বাবুর?”
দলপতি ধরফরিয়ে বলে “আরে বাবু অনেক বড় বাবু কচি মাল চাই !”একটা মাল আছে
কিন্তু অনেক টাকা লাগবে , যেমন খুশি খাও সারা রাত কিন্তু ৫০০০ টাকা লাগবে ৷
” কথা শুনে দলপতি চোখ কপালে তুলে দেয় ! “কি বলছ দিদি সারা মাসে ৫০০০ টাকা
কামাই হয় না আমার , সহরে ২৫০০ টাকায় সংসার চলে যায় আর এক রাতের মাল ৫০০০
টাকা !” দলপতি নবিন বাবু কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকে ৷ মঙ্গলা ওদের
যেতে দেখে আওয়াজ দিয়ে ওঠে শেষ “৫০০০ টাকার মাল ৫০০০ এরই মত মাল পাবে !”
কেমন আনকোরা মাল পেল জানতে হলে চোখ রাখুন বাংলা চটি কাহিনীতে …..